ক্রঃ নং | সেবা সমূহ |
০১ | শিশুদের জন্য ২ থেকে ৩ বছর মেয়াদী সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করা হয়। প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো হচ্ছে সঙ্গীত, নৃত্য, চিত্রাংকন, আবৃত্তি এবং তিন (০৩) মাস মেয়াদী শিশুদের কম্পিউটার প্রশিক্ষন দেওয়া হয়ে থাকে। অক্টোর-২০১১ ইং থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষন কোর্স শুরু হয়েছে। এ কোর্সে ৭-১৬ বৎসরের শিশুদের ভর্তি করানো হয়। |
০২ | সকল শ্রেণীর শিশুদের বর্ণিতসাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহে নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। |
০৩ | গুরুত্ব বিবেচনা করে বিভিন্ন জাতীয় ও আর্ন্তরর্জাতিক দিবস উদযাপন করা হয়। এ সকল অনুষ্ঠানে সমাজের সকল স্তরের শিশুদের অংশগ্রহনের সুযোগ রয়েছে। |
০৪ | শিশুদের পড়ার উপযোগী একটি শিশু গ্রন্থাগার রয়েছে। শিশুরা সদস্য হয়ে নির্ধারিত সময়ের জন্য বই লেনদেন করতে পারে। গ্রন্থাগারে প্রায় ৩,০০০ এর মতো বই রয়েছে। |
০৫ | বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, ঢাকা থেকে মাসিক ‘শিশু’ পত্রিকা প্রকাশিত হয় যেখানে শিশুরা তাদের লেখার মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে পারে। |
০৬ | জাতীয় ও আর্ন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় শিশুদের অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করা হয়। |
০৭ | জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতাঃ - জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা একাডেমীর বিভিন্ন কাযক্রমের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিশুরা তাদের সৃজনশীলতা, মেধা ও যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যমে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ লাভ করে। মোট ২৯টি বিষয়ে উপজেলা/থানা পর্যায় থেকে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যোগ্যতার ভিত্তিতে জেলা, অঞ্চল সর্বোপরি জাতীয় পর্যায়ে শিশুদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ প্রতিযোগিতা শেষ হয়। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৮ সাল থেকে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা দেশব্যাপী নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিযোগিতাকে ২টি বিষয়ে ভাগ করা হয়েছে। ১. সংস্কৃতি ও শিক্ষা ২. ক্রীড়া বিষয়ক। সকল প্রতিযোগিতা এককভাবে হয়। |
০৮ | সেভ দ্যা চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল ও প্ল্যান বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, জামালপুর এর তত্বাবধানে ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) শিশুদের জন্য কাজ করছে। যেখানে ষান্মাসিক ‘শিশুধ্বনি’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয় এবং শিশু অধিকার বাস্তবায়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। |
০৯ | শিশুদের মৌসুমী প্রতিযোগিতাঃ - শিশুদের লেখাপড়া ও পরীক্ষার মাঝে যাতে অবসর সময় নষ্ট না করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে শিশুদের পারস্পারিক সু-সম্পর্ক গড়ে তোলা, হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার , দলগত সমঝোতা বৃদ্ধি এবং শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ১৯৭৮ সাল থেকে প্রতি বছর শিশুদের মৌসুমী প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে। মোট ৪টি বিষয়ে উপজেলা/থানা পর্যায় হতে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যোগ্যতার ভিত্তিতে উপজেলা, জেলা, অঞ্চল সর্বোপরি জাতীয় পযায়ে শিশুদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ প্রতিযোগিতা শেষ হয়। প্রতিযোগিতার বিষয়সমূহঃ (১)জ্ঞান-জিজ্ঞাসা (২) উপস্থিত বিতর্ক (৩) সমবেত দেশাত্নবোধক জারিগান (৪) দলীয় নৃত্য (আঞ্চলিক। প্রতিযোগিতা দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি দলে ৪জন করে প্রতিযোগী থাকে। |
১০ | সাংস্কৃতি উৎসবঃ- সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১১ সাল থেকে শুরু হয়েছে। জাতি ধর্ম, বর্ণ, ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকল শিশুর ভেতর লুকায়িত পূর্ণ সম্ভাবনার মান উন্মোচন করতে তাঁদের সুকুমারবৃত্তির চর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করে থাকে। উপজেলা পর্যায়ে শিশুরা অংশগ্রহণ করে যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়ে জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে পুরস্কার লাভ করে। |
১১ | শিশু বিকাশ ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাঃ ৩-৫ বছর বয়সী শিশুদের (৩০+৩০) জনকে বিনামূল্যে শিক্ষা দান, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং তাদেরকে বছরে ১(এক) সেট করে বিনামূল্যে পোষাক দেওয়া হয়। |
১২ | বিভিন্ন কর্মসূচি পালনঃ- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, মহান বিজয় দিবস, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বাংলা নববর্ষ, বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ , পুস্তক প্রদর্শনী, শিশু আনন্দমেলা, ও শিশুদের শিক্ষা সফর পালন করা হয়। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস